উপকূলীয় জেলা খুলনায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কিল্লা। এ ছাড়া প্রস্তত রয়েছে পাঁচ সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবকও। আশ্রয় কেদ্রেগুলোতে অন্তত ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ থাকতে পারবে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টারে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া ৩টি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জন মানুষ ও ৫৬০টি গবাদি পশু রাখা যাবে। এ ছাড়া উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছায় ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে সরকার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সেজন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রিন রোডের পানি ভবনের লেভেল-২ এবং কক্ষ নম্বর ২১৪ এ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলবে। এর সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন দফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া।
এতে আরও জানানো হয়, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা থেকে হতে সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, পূর্বাভাস ও জলোচ্ছ্বাস সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের দফতর থেকে উপকূলীয় বাঁধ, পোল্ডার ইত্যাদির ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ সংগ্রহ করা হবে।
সেজন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীর ঘূর্ণিঝড়ের সময় জরুরি তথ্য ই-মেইল বা ফোনের মাধ্যমে কন্ট্রোল রুমে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই দফতরের সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর সবধরনের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন—০২-২২২২৩০০৭০, মোবাইল ফোন—০১৭৬৫৪০৫৫৭৬, ০১৫৫৯৭২৮১৫৮। তথ্য পাঠানোর ই-মেইল— ffwcbwdb@gmail.com, ffwc05@yahoo.com